স্বদেশ ডেস্ক:
আগামী মে মাস থেকে কোভ্যাক্সের টিকা পাবে বাংলাদেশ। প্রথম পর্যায়ে আসবে ১ কোটি ৯ লাখ ৮ হাজার ডোজ টিকা। বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ পাবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। গতকাল সোমবার প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ আপডেট’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিশ্বব্যাংক।
এতে বক্তব্য রাখেন সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর মাসিং মিয়াং টেম্বন। প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংস্থাটির সিনিয়র ইকোনমিস্ট বানার্ড হ্যাভেন। সংবাদ সম্মেলনে মার্সি টেম্বন বলেন, ভ্যাকসিনপ্রাপ্তি নিয়ে বৈশ্বিকভাবে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে বাংলাদেশ কোভ্যাক্স থেকে ভ্যাকসিন খুব শিগগিরই পাবে। বাংলাদেশ সরকারের ভ্যাকসিন কিনতে অর্থের কোনো সমস্যা নেই। বিশ্বব্যাংকও ৫০ কোটি ডলার দিতে যাচ্ছে, যা দিয়ে দেশের তিন ভাগ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন কেনা যাবে।
দরিদ্র দেশগুলোয় করোনা ভাইরাসের টিকা পৌঁছানোর লক্ষ্যে গঠিত কোভ্যাক্স নামের এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ২৩ কোটি ৮২ লাখ ডোজ বিশ্বজুড়ে বিতরণ করা হবে। টিকা গ্রহণের ব্যাপারে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বাড়লেও বেশিরভাগ টিকাই ধনী দেশগুলোয় সরবরাহ করা হয়েছে এবং অনেক দেশে এখন পর্যন্ত টিকার একটি ডোজও পৌঁছায়নি। কোভ্যাক্স উদ্যোগের মাধ্যমে টিকার প্রথম চালানটি ৩১ মে নাগাদ ১৪১টি দেশ ও অঞ্চলে বিতরণ করার পরিকল্পনার একটি প্রাথমিক রূপরেখা প্রকাশ করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া প্রধান পাঁচটি গ্রাহক দেশ হিসেবে পাকিস্তান ১ কোটি ৪৬ লাখ ৪০ হাজার ডোজ, নাইজেরিয়া ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫৬ হাজার ডোজ, ইন্দোনেশিয়া ১ কোটি ১৭ লাখ ৪ হাজার ৮০০ ডোজ, বাংলাদেশ ১ কোটি ৯ লাখ ৮ হাজার ডোজ এবং ব্রাজিল ৯১ লাখ ২২ হাজার ৪০০ ডোজ ভ্যাকসিন পাবে। ইথিওপিয়া ৭৬ লাখ ২০ হাজার, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ৫৯ লাখ ২৮ হাজার, মেক্সিকো ৫৫ লাখ ৩২ হাজার, মিসর ৪৩ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ এবং ভিয়েতনাম ৪১ লাখ ৭৬ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন পাবে। ইরান, মিয়ানমার, কেনিয়া এবং উগান্ডা ৩০ লাখের বেশি ডোজ টিকা পাবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে।